আজ ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংগৃহীত ছবি

গাধা জল ঘোলা করে খায়: তথ্যমন্ত্রী


বিএনপি জল ঘোলা করে খায় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। আজ রবিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে আসন্ন বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৭ উপলক্ষে বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।

বর্তমান সরকারের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে কী যাবে না? এমন প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন,‘২০১৮ সালেও গাধা জল ঘোলা করে খেয়েছিল। নির্বাচনের বহু আগে থেকে তারা সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না এ কথা বলে এসেছিলো। পরে গাধা জল ঘোলা করে খেয়েছে, নির্বাচনে গেছে। এবারও উনারা বলছেন নির্বাচনে যাবেন না। কিন্তু বিএনপির অনেক নেতাকে আমি জানি, চিনি, শুনি। মির্জা ফখরুল সাহেব যাই বলুন, বিএনপি নেতারা নির্বাচনে যাওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে বসে আছেন।’

মন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমান কয়েক হাজার সেনাসদস্যকে বিনা বিচারে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছিল। জামাতকে সাথে নিয়ে যারা অগ্নিসন্ত্রাস, নৈরাজ্য করেছিল বিএনপি সেই দল। যারা মাঠে গিয়ে বোমা নিক্ষেপ করেছে শুধু তারা নয়, এগুলোর পেছনে অর্থায়ন আছে, হুকুমদাতা আছে, বিএনপির হুকুমদাতা আর অর্থদাতাকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। এটি এখন সময়ের দাবি এবং যাদের আর্তনাদ শুনেছি তাদের দাবি।’

আসন্ন কপ-২৭ সম্মেলনে বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দেবেন তথ্যমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের অসহায় শিকার একটি দেশ। কারণ জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে আমাদের কোনো ভূমিকা নেই। আমাদের দেশে আজ থেকে ১২-১৩ বছর আগে জনপ্রতি প্রতিবছর গ্রিন হাউজ গ্যাস নি:সরণ ছিলো ০.২ টন। সেটা একটু বেড়ে এখন ০.৬ টন। আর অন্যদিকে উন্নত দেশগুলোতে জনপ্রতি প্রতিবছর গ্রিন হাউজ গ্যাস নি:সরণ ইউরোপে ১০ টনের বেশি, আমেরিকায় ১৫ টন বা আরো বেশি। দ্রুত উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এখন এই মাত্রা ৪-৫ টনে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই তুলনায় আমাদের ক্ষতিকর ভূমিকা নেই, কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব আমাদের ওপর অন্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি পড়ছে।

আক্ষেপ করে তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, পুরো পৃথিবী জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, পৃথিবীর মানুষ, পৃথিবীর রাজনৈতিক নেতৃত্ব পৃথিবীকে রক্ষা করার পরিবর্তে এখন কে ন্যাটোতে যোগ দেবে কে দেবে না সেটি নিয়েই ব্যস্ত। আমরা একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ব্যস্ত, একে অপরকে ধ্বংস করতে ব্যস্ত, একে অপরের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ব্যস্ত। পুরো মানবজাতি যে মহাদুর্যোগের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছে এবং সেই প্রেক্ষিতে পুরো মানবজাতির অস্তিত্বই যে হুমকির মুখে পড়ছে, সেটি নিয়ে মাথাব্যথা খুব কম।

তিনি জানান, জলবায়ু সম্মেলনে বাংলাদেশের পক্ষে এবারের মূল বক্তব্য থাকবে যে, ‘দয়া করে যুদ্ধটা বন্ধ করুন, একে অপরকে ধ্বংস করার পরিবর্তে সবাই মিলে পৃথিবীটাকে রক্ষা করুন। দ্বিতীয়ত: আমরা যারা জলবায়ু পরিবর্তনের অসহায় শিকার, আমাদেরকে যেহেতু প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, প্রতিশ্রুত সাহায্য করতে হবে। আজকে থেকে শুরু হওয়া এবারের বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে এই বক্তব্যগুলোই তুলে ধরবো।’ আমাদের সাংবাদিকরা এক্ষেত্রে অনেক বড় ভূমিকা পালন করেছে বলেও জানান তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, পরিবেশ সচেতনতাটা আমাদের দেশে অনেক দেশের তুলনায় ভালো। এটির পেছনে সাংবাদিকদের অবদান আছে। আমাদের ক্লাইমেট জার্নালিস্ট ফোরাম দীর্ঘদিন ধরে এ নিয়ে কাজ করছে, তারা এ সম্মেলনে নিয়মিত অংশগ্রহণ করে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের সভাপতি কাওসার রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক মাসুদ উল হক প্রমুখ।

তথ্যসূত্র : বাসস


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর